কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও তার উত্তর:
প্রশ্ন-১ নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়?
উত্তরঃ নতুন পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদি (Documents) দূতাবাসে জমা দিতে হবেঃ
২।বর্তমান পাসপোর্ট
৩। বর্তমান পাসপোর্ট না থাকলে মালদ্বীপ পুলিশ হতে লস্ট রিপোর্ট সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।
৪। বর্তমান পাসপোর্টের ফটোকপি
৫। জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন-এর ফটোকপি
৬। ১টি পাসপোর্ট সাইজ ফটো এবং
৭। পাসপোর্ট ফি বাবদ ১১০ মার্কিন ডলার
প্রশ্ন-২ নতুন পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট রিইস্যু করার ফর্ম কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ১। বর্তমান পাসপোর্টটি যদি হাতে লেখা পাসপোর্ট হয়ে থাকে তাহলে নিম্নবর্ণিত
লিঙ্ক থেকে নতুন পাসপোর্ট করার ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে।
//dip.gov.bd/
২। বর্তমান পাসপোর্টটি যদি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) হয়ে থাকে তাহলে নিম্নবর্ণিত
ইস্যু/তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন আবেদন ফরম
প্রশ্ন-৩ বর্তমান পাসপোর্টটি পাওয়া না গেলে কিভাবে নতুন পাসপোর্ট করা যাবে?
উত্তরঃ বর্তমান পাসপোর্ট পাওয়া না গেলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে নতুন পাসপোর্ট
করা যাবেঃ
১। নিজে অথবা বর্তমান কোম্পানি/মালিক/প্রতিনিধিকে মালদ্বীপ পুলিশ স্টেশন থেকে পুলিশ রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে
২। উক্ত পুলিশ রিপোর্টটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাসে ইমেইল করতে হবে।
৩। উক্ত পুলিশ রিপোর্ট দূতাবাসে জমা দিলে পর্যবেক্ষণ (verification) করে সঠিক পাওয়া গেলে দূতাবাস কর্তৃক নতুন পাসপোর্ট issue করা হবে।
এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদি (Documents) দূতাবাসে জমা দিতে হবেঃ
৪। জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন-এর ফটোকপি
৫। ১টি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং
৬। পাসপোর্ট ফি বাবদ ১১০ মার্কিন ডলার
প্রশ্ন-৪ নতুন পাসপোর্ট কত দিনের মধ্যে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হয়না। বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট পাঠানোর তারিখ-এর ব্যাপারেও কোন অগ্রিম তথ্য দূতাবাসে থাকেনা। বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্টসমূহ গ্রহণ করা মাত্র বাংলাদেশ দূতাবাসের Facebook page-এ গ্রহণকৃত পাসপোর্টসমূহের লিস্ট আপলোড করা হয়। এক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট গ্রহণের জন্য অপেক্ষমান সকলকে মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের Facebook page-এর পোস্টসমূহ নিয়মিতভাবে দেখার অনুরোধ করা হলো।
প্রশ্ন-৫ নতুন পাসপোর্ট-এ কি নিজের নাম/পিতার নাম/মাতার নাম বা জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যায়?
উত্তরঃ পাসপোর্ট-এ নিজের নাম/পিতার নাম/মাতার নাম বা জন্ম তারিখ-এ কোন প্রকার পরিবর্তন করা বাঞ্ছনীয় নয় কারণ সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্ট-এর গ্রহণযোগ্যতা কমে যায় এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তবে কোন ভুল হয়ে থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন।
https://male.mofa.gov.bd/en/site/files/Passport-information-correction
প্রশ্ন-৬ পাসপোর্ট-এর মেয়াদ না থাকলে কি পাসপোর্ট করা যায়। সর্বনিম্ন কতদিন মেয়াদ থাকলে নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন করতে হবে?
উত্তরঃ পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকলেও নতুন পাসপোর্ট-এর জন্য আবেদন করা যাবে। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণের ছয় মাস আগে নতুন পাসপোর্ট-এর জন্য আবেদন করা উত্তম।
প্রশ্ন-৭ জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে বর্তমান পাসপোর্টের তথ্য মিল থাকতে হবে?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে বর্তমান পাসপোর্টের তথ্য মিল থাকা আবশ্যক ও বাঞ্ছনীয়।
প্রশ্ন-৮ : আমার পাসপোর্ট কি হাইকমিশন হতে অন্য কেউ সংগ্রহ করতে পারবে?
উত্তর: আপনি যদি বিশেষ কোন কারণে নিজে না আসতে পারেন তবে আপনার মনোনীত ব্যক্তি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রাদি প্রয়োজন হবে:
প্রশ্ন - ৯: ট্রাভেল ডকুমেন্ট (তিন পাতা পাসপোর্ট) কি? এটির বৈশিষ্ট্য কি এবং এটি পাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়?
উত্তর: আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকলে বা পাসপোর্ট না থাকলে জরুরি প্রয়োজনে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আপনি একবার ব্যবহারযোগ্য ট্রাভেল ডকুমেন্ট হাইকমিশন হতে সংগ্রহ করতে পারবেন।
বৈশিষ্ট্য সমূহ:
- একবার ব্যবহার যোগ্য
- শুধুমাত্র বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে
- এর মেয়াদ ইস্যুর তারিখ হতে তিন মাস
- এটি আবেদন জমার ৫-৭ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়
- এটির জন্য নগদ ১৩ ইউ এস ডলার ফি জমা প্রদান করতে হয়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ:
- আবেদনপত্র
- পাসপোর্টের ফটোকপি
- ছবি ১টি পাসপোর্ট সাইজ ও ১টি স্ট্যাম্প সাইজ
- মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন প্রদত্ত ভলান্টারী রিটার্ণ রিকোয়েস্ট ফরম (টোকেন)
প্রশ্ন ১০: ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সদস্য পদ কিভাবে লাভ করা যায়?
উত্তর: সরকার বর্তমানে মিশন হতে ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সদস্য পদ গ্রহনের সুযোগ প্রদান করেছে। সদস্য পদের জন্য নিম্নে বর্ণিত ধাপ সমূহ অনুসরন করুন।
- http://member.wewb.gov.bd/wewbm/createnewMemberHomeAll এই লিঙ্ক হতে অনলাইন ফরম পূরণ করুন। অত:পর অনলাইনে পূরণকৃত ফরম এর প্রিন্ট কপি বর্ণিত কাগজপত্রসহ হাইকমিশনের শ্রম কল্যাণ উইং এ জমা দিন।
- পাসপোর্ট ও ভিসার কপি
- ফি ৩৫ ডলার
- নমিনির আইডি কপি
- সাধারনত ১ সপ্তাহের মধ্যে মেম্বারশীপ কার্ডের সফট কপি ও পরবর্তীতে হার্ড কপি পেয়ে যাবেন।
প্রশ্ন ১১: ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য হাইকমিশন হতে কিভাবে ভেরিফিকেশন লেটার পাবো?
উত্তর: আপনার বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, ভিসা কপিসহ হাইকমিশনে আবেদন জমা দিন। আবেদনের সাথে ১১ ইউ এস ডলার (নগদ) জমা প্রদান করতে হবে। সাধারনত ১ সপ্তাহের মধ্যে ভেরিফিকেশন লেটার পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ১২: পাসপোর্টে তথ্য সংশোধন কিভাবে করবো?
উত্তর: পাসপোর্টে কোন তথ্য সংশোধন করতে হলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে সে মোতাবেক পাসপোর্টে তথ্য সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। তথ্য সংশোধনের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়; সুতরাং আপনার পাসপোর্ট পেতে সময় বেশী লাগবে। তথ্য সংশোধনের জন্য একটি অঙ্গীকারনামা ও দাখিল করতে হবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
https://male.mofa.gov.bd/en/site/files/Passport-information-correction